এই শীতে শিশুর সুরক্ষায় মেনে চলুন ৬টি নিয়ম!
শীতকালে আবহাওয়া রুক্ষ এবং বৈরী হওয়ায় শিশুদের নিয়ে বাবা-মা’দের দুশ্চিন্তার অন্ত থাকেনা। সারাক্ষনই একটা দুশ্চিন্তা চলতে থাকে, এই বুঝি ঠান্ডা লেগে গেলো।
শীতে এমনিতেও শিশুদের ইমিউনিটি কমে যায়। ফল স্বরুপ ফ্লু, ভাইরাস জ্বর, সর্দি-কাশির কবলে পরে যাওয়াটা খুব অসম্ভব কিছু নয়।
তাই এসব থেকে শিশুকে সুরক্ষিত রাখতে শীতের আগেই করিয়ে নেওয়া উচিত একটি এডভান্স চেক আপ।
এর পাশাপাশি আরো যেসব পন্থা অবলম্বন করে শীতের এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা যায় সেসবের উল্লেখ থাকছে এই আর্টিকেলটিতে। তাহলে পড়তে থাকুন এবং জেনে নিন শীতে শিশুকে সুরক্ষিত রাখার উপায় সমূহ।
গোসলের আগে হট অয়েল মাসাজ
শীতের অন্যতম প্রধান ঝামেলা স্কিন ড্রাই হয়ে থাকা। ছোট শিশুদের ত্বক বড়দের তুলনায় অনেক সফট এবং ডেলিকেট হওয়ায় গোসলের আগে মাসাজ করাটা জরুরী।
মাসাজের ফলে শরীরের ব্লাড সার্কুলেশন বৃদ্ধি পায় এবং ত্বকের মোলায়েম ভাবটা বজায় থাকে।
অনেকেই মাসাজের জন্য আর্দশ তেল নির্ধারণ করা নিয়ে বিপাকে পড়ে থাকেন। সাধারণত নারিকেল তেল, সরিষার তেল এবং আন পারফিউমড বেবি অয়েল যেটা মূলত মিনারেল অয়েল এগুলোই বাজারে প্রচলিত মাসাজের জন্য।
নারিকেল তেল ত্বকের ময়েশ্চার বজায় রাখতে সহায়তা করে অন্যদিকে সরিষার তেল শরীর গরম রাখে।
নারিকেল তেল বা বেবি অয়েল যেকোনটা নরমালি যেকোন সময়ে যখন খুশি ব্যবহার করা যায় কিন্তু সরিষার তেলের মালিশ সাধারণত গোসলের আগে করা ভালো এবং একবারে গোসলের সাথেই ধুয়ে ফেলা যায় ।
মাসাজের আগে তেলের তাপমাত্রাটা খেয়াল করে নিতে হবে। হাতের কনুই বা হাতের তালুতে অল্প পরিমাণ তেল ঢেলে কতটুকু গরম হয়েছে তা দেখে নেওয়া যায়।
তেল বেশি গরম হলে শিশুদের ত্বক পুড়ে যেতে পারে অপরদিকে সঠিক তাপমাত্রার তেলের মালিশ শিশুদের মধ্যে আনবে আরাম এবং স্বাচ্ছন্দ্য।
গোসলের সময় রুমের তাপমাত্রা ঠিক রাখা
শিশুদের গোসলের আগে রুমটা যেনো নরমাল তাপমাত্রায় (একটু গরম) থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সেজন্য হিটার, হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করা যেতে পারে।
গোসলের সময় ৫-১০ মিনিটের বেশি না হওয়ায় ভালো। ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা কম থাকে।
গোসলের পানির তাপমাত্রা কুসুম গরম থাকা ভালো এজন্য সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বেশি গরম বা অল্প একটু গরম দুটোই বিরুপ প্রতিক্রিয়া ফেলতে পারে শিশুর উপর।
শীতে শিশুদের গোসলের পানির আদর্শ তাপমাত্রা ধরা হয় ৩৮° সেলসিয়াস। পানিতে একুরেট তাপমাত্রা আনার জন্য থার্মোমিটার দিয়ে পরিমাপ করে তাপমাত্রা এডজাস্ট করে নেওয়া যায়।
যেহেতু শিশুরা স্পেশাল কেয়ারের মধ্যেই থাকে তাই শিশুদের শরীরে খুব বেশি ধুলোময়লা থাকেনা। এজন্য সপ্তাহে ৭দিনের মধ্যে একদিন বা দুই দিন পর পর গোসল করালেও চিন্তার কোন কারণ থাকেনা।
কাপড় যেনো ভেজা না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখা
শিশুরা সেনসিটিভ হওয়ায় পরিধেয় কাপড় ভেজা থাকলে সেটা থেকে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেজন্য শিশুর পরিধেয় এবং ব্যবহার্য পোশাক যেনো শুকনো থাকে সেদিকে নজর রাখতে হবে।
খাওয়ানোর সময় পানি বা খাবার পরে জামা ভিজে গেলে খাওয়া শেষেই তা বদলে ফেলতে হবে। পাশাপাশি ডায়পার ভেজা থাকলেও সেখান থেকে ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা থাকে।
এজন্য সময়ে সময়ে খেয়াল করে ডায়পার বদলে দিতে হবে। এতে করে ঠান্ডাও লাগবে না এবং ভেজা স্যাঁতেস্যাঁতে ডায়পার থেকে র্যাস হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে না।
ভারী পুলোভার বা কম্বল ব্যবহার না করা
ঘুমানোর বেলায় শিশুদের ঠান্ডা থেকে বাঁচাতে গায়ে ভারী কম্বল দিয়ে থাকেন অনেকেই। এক্ষেত্রে অনেক সময় ঘুমের মধ্যে শিশুর নড়াচড়ায় সমস্যা হয় সেই সাথে পুলোভারে মুখ ঢেকে গেলে শ্বাস নিতেও সমস্যা হয়ে থাকে।
এর জন্য সবচেয়ে নিরাপদ উপায় হচ্ছে ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখাবার ব্যবস্থা করা এবং শিশুর গায়ে পাতলা কাঁথা বা কম্বল দিয়ে রাখা।
আরামদায়ক পোশাক নির্বাচন
শিশুকে ঠান্ডা থেকে সামলে রাখতে অনেক বাবা মা-ই মোটা, আঁটসাঁট কাপড়ে মুড়িয়ে রাখতে প্রেফার করেন। কিন্তু মোটা, আটসাট কাপড়ে শিশু তার সুবিধা এবং ইচ্ছানুযায়ী নড়াচড়া করতে পারেনা।
এজন্য এমনভাবে পোশাক নির্বাচন করতে হবে যেনো শিশুর নড়াচড়ায় সমস্যা না হয়। তাই শিশুদের পোশাক নির্বাচনের সময় এসব দিক খেয়াল রাখতে হবে।
খাদ্য নির্বাচন
শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে যেমন বাহ্যিক সুরক্ষা দরকার তেমনি শরীরের ভেতরের সুরক্ষাও নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য শিশুকে অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি চিকেন, ভেজিটেবল ব্রথে তৈরি বিভিন্ন ফ্লেভারের স্যুপ খাদ্যতালিকায় যোগ করা যেতে পারে।
উপরে বর্ণিত উপায়গুলো অবলম্বন ছাড়াও শিশুর সংস্পর্শে যারা থাকেন সবসময় তাদের নিজেদেরও পারসোনাল হাইজিন মেনে চলতে হবে। যাতে করে কারো থেকে শিশুর মধ্যে রোগ-জীবাণু সংক্রমিত হতে না পারে।
তাই শিশুর সহচর্যে আসার আগে হাত ভালো করে ধুয়ে আসা, প্রয়োজনে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা, পরিষ্কার জামা-কাপড় পরা, বিছানার চাদর নিয়মিত ধোয়া।
ঘরের মধ্যে শিশুর নাগালের মধ্যে পায় যাবতীয় সব জিনিসপাতি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
Sample Block Quote
Praesent vestibulum congue tellus at fringilla. Curabitur vitae semper sem, eu convallis est. Cras felis nunc commodo loremous convallis vitae interdum non nisl. Maecenas ac est sit amet augue pharetra convallis nec danos.
Sample Paragraph Text
Praesent vestibulum congue tellus at fringilla. Curabitur vitae semper sem, eu convallis est. Cras felis nunc commodo eu convallis vitae interdum non nisl. Maecenas ac est sit amet augue pharetra convallis nec danos dui.
Cras suscipit quam et turpis eleifend vitae malesuada magna congue. Damus id ullamcorper neque. Sed vitae mi a mi pretium aliquet ac sed elitos. Pellentesque nulla eros accumsan quis justo at tincidunt lobortis denimes loremous. Suspendisse vestibulum lectus in lectus volutpat, ut dapibus purus pulvinar. Vestibulum sit amet auctor ipsum.