ডিশ ওয়াশিং যখন উপভোগ্য!
পৃথিবীতে এমন মানুষ হয়তো খুঁজেই পাওয়া যাবে না যারা খাবার খেতে পছন্দ করেন না। কিন্তু এমন মানুষ কি আছেন যারা খাবারের পরের ঝক্কিটাকে পছন্দ করেন?
জ্বি, ঠিক ধরেছেন। আমি ডিশ ওয়াশিং এর কথা বলছি। তার উপর আবহাওয়া যদি হয় এমন ঠাণ্ডা তাহলে তো কথাই নেই! তাহলে উপায়?
আমাদের আজকের আয়োজন সেই উপায়গুলো নিয়েই যেগুলো ডিশ ওয়াশিং এর মতো কাজকে আরও সহজ করে তুলবে।

হ্যাঁ, হয়তো পানি ধরার বিকল্প নেই তবে যদি পানি ধরার সময়টাকে একটু কমিয়ে আনা যায় অথবা এই কাজটাকেই করে তোলা যায় উপভোগ্য? চলুন দেখে নেয়া যাক এমনই মজার কিছু কৌশল।
ওয়ান স্পঞ্জি ট্রিক্স
এই ট্রিক্সের নামেই কাজের পরিচয়।
রান্নাঘরে গিয়ে যখন দেখবেন এক গাদা ময়লা ডিশ আপনার দিকে বিজয়ীর চেহারা নিয়ে তাকিয়ে আছে তখন আপনার মনে প্রথম দিকেই ‘অ্যাকশন’ বলে ডিশওয়াশ এবং স্পঞ্জ নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ার বদলে বরং ফেরত যাবার চিন্তা উঁকি দেবার সম্ভাবনাই বেশি।
কিন্তু না, আজ আপনাকে বিজয়ী হতেই হবে। পরাজয় বরণ করবে ওই ডিশগুলো।

এক্ষেত্রে আপনি বড় একটি বাটিতে একটু পানি নিয়ে স্পঞ্জ ভালো মতো ভিজিয়ে নিন। এবার স্পঞ্জে ডিশওয়াশ বার মাখিয়ে নিন। কোনোদিকে না তাকিয়ে মাজতে থাকুন।
একবার স্পঞ্জ চুবিয়ে যতগুলো বাসন মাজা যায়, মেজে ফেলুন। এরপর স্পঞ্জ ধুয়ে আবার শুরু করুন। এতে করে কাজ কম মনে হয় এবং হাতের উপর চাপ কমে যায়।
ডিশওয়াশের জন্য পণ্য কিনুন নিজেই
কাজটা যেহেতু আপনিই করছেন তাই সেটা হওয়া উচিত আপনার জন্য মজার। ধরুন লেবুর গন্ধে আপনি অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছেন তাহলে ডিশওয়াশ বার বা লিকুইড সোপ কিনুন ভিন্ন ফ্লেভার দেখে।
সব ধরনের স্পঞ্জে সবাই অভ্যস্ত নয়, শুধু সেটাই কিনুন যেটা দিয়ে বাসন ধুয়ে আপনি ক্লান্ত হবেন না।
কাজের পরিবেশ যদি হয় একেবারে নিজের মতোই তখন কোনো কাজকেই ‘কাজ’ মনে হবে না। মানসিক প্রশান্তি নিয়ে করে ফেলুন ডিশ ওয়াশিং এর মতো কাজ।

থালাবাসন সিঙ্কে জমা করবেন না
থালাবাসন সাধারণত আমরা খেয়েদেয়ে সিংকে জমিয়ে রাখি। এই কাজটি কখনই করা উচিত নয়। সিঙ্কে থালাবাসন না জমিয়ে বরং আলাদা কোনো বড় গামলায় জমা করুন।
এতে করে আপনার সিংক ঝামেলামুক্ত থাকবে এবং আপনি ইচ্ছেমত সিঙ্কটি ব্যবহার করতে পারবেন, থালাবাসন ধোয়াও আপনার কাছে ঝামেলার মনে হবে না। একটি একটি করে বাসন নিয়ে শান্তিতে কাজ করতে পারবেন।

ধোয়ার পদ্ধতি আলাদা করুন
একটি প্লেট ধোয়ার জন্য আপনাকে যতটা পরিশ্রম করতে হবে তার চেয়ে পুড়ে যাওয়া কড়াইয়ের জন্য শ্রম দরকার অনেক বেশি। তাই স্মার্ট হাতে কাজ ভাগ করুন।
যেমন পুড়ে যাওয়া কড়াইতে একটু ডিশওয়াশিং লিকুইড সহ পানি মিশিয়ে তাতে এক মুঠ লবণ ছেড়ে দিন। এবার কড়াইটি চুলায় বসিয়ে দিন এবং সিঙ্কের বাকি থালাবাসন ধুয়ে ফেলুন।
গরম পানি এবং লবণ ও লিকুইড সোপের মিশ্রণে পুড়ে যাওয়া শক্ত প্রলেপ নরম হবে এবং সহজেই ধুয়ে ফেলা যাবে।

সব কিছুই মাজতে যাবেন না
ব্যাপারটা এমন নয় যে সবকিছুই মাজতে হবে। পানি খাবার গ্লাস, তরকারি কেটে রাখা গামলা বা ফলের বাটি এসব বাসন শুধুমাত্র পানিতে ধুয়ে ফেললেও পরিষ্কার হয়ে যায়।
এর জন্য বাড়তি করে স্পঞ্জ এবং সাবান নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ার কোনো প্রয়োজনই নেই। এভাবে জিনিস ভাগ করে রাখলে কাজ কমে যায়।

বোনাস
আপনার সিঙ্কে দেখুন লক করার একটি নিয়ম আছে। শিকলে প্যাঁচানো একটি রাবারের মুখ থাকে যেটি দিয়ে আপনি সিঙ্কের পানি যাবার রাস্তা লক করে দিতে পারেন।
এভাবে সিঙ্ক লক করে রেখে তারপর সিঙ্কটি অর্ধেকের কিছু বেশি অংশ পর্যন্ত গরম পানিতে ভরে ফেলুন। এবার একটি কাঠির সাহায্যে ওই পানিতে ডিশ ওয়াশিং লিকুইড গুলে ফেলুন। কিছুক্ষণ পর একে একে ওই পানিতে ডিশুগুলো ছেড়ে দিন।
এভাবে ডিশগুলো ভিজতে দিন। এই ফাঁকে আপনি পত্রিকায় চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন, সেরে নিতে পারেন ইয়োগা কিংবা একটু হাত-পায়ের যত্ন।
এরপর সিঙ্ক এর লক খুলে কিছুটা পানি ফেলে দিয়ে ট্যাপ ছেড়ে ডিশ ধোয়া শুরু করুন। ঘড়ি ধরে দেখুন, আগের চেয়ে অর্ধেক সময় কম খরচ হয়েছে এবং আপনারও ক্লান্তি লাগছে না। দারুণ কৌশল, তাই না!

একজন গৃহিনীই হন অথবা একজন চাকরিজীবী, নারী হিসাবে একটি পরিবারের উপর আপনার দায়িত্ব অনেক বেশি। কিন্তু সেই ভাবে হয়তো সবসময় আপনার শরীরে শক্তিও থাকে না।
তাই এই দুইয়ের সমন্বয় করতে আমরা ফিরে আসবো আরও কিছু মজার ও সহজ কৌশল নিয়ে। যেন আপনার জীবন আরও সহজ এবং সুন্দর হয়।
থালাবাসন ধুতে গিয়ে আপনার সুন্দর হাতের লুক যেন নষ্ট না হয়ে যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখছেন তো? আমরা কিন্তু ঠিকই সেদিকটায় লক্ষ্য রেখে আপনার জন্য নিয়ে এসেছি এই Water Proof Cleaning Gloves
ডিশ ধুয়ে তুলে রাখার আগে মুছে রাখার জন্য নরম কাপড় প্রয়োজন? তার জন্যেও ঘুরে আসতে পারেন এই লিংকে।
Sample Block Quote
Praesent vestibulum congue tellus at fringilla. Curabitur vitae semper sem, eu convallis est. Cras felis nunc commodo loremous convallis vitae interdum non nisl. Maecenas ac est sit amet augue pharetra convallis nec danos.
Sample Paragraph Text
Praesent vestibulum congue tellus at fringilla. Curabitur vitae semper sem, eu convallis est. Cras felis nunc commodo eu convallis vitae interdum non nisl. Maecenas ac est sit amet augue pharetra convallis nec danos dui.
Cras suscipit quam et turpis eleifend vitae malesuada magna congue. Damus id ullamcorper neque. Sed vitae mi a mi pretium aliquet ac sed elitos. Pellentesque nulla eros accumsan quis justo at tincidunt lobortis denimes loremous. Suspendisse vestibulum lectus in lectus volutpat, ut dapibus purus pulvinar. Vestibulum sit amet auctor ipsum.