নিত্যদিনের যত সমস্যার সহজ সমাধান
আমাদের বাসাবাড়িতে প্রতিনিয়ত ছোটো বড় কত যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তা হয়তো আমরা নিজেরাও জানি না। চলতে ফিরতে কিছু না কিছু চোখে পড়ছেই। সব কিছুরই সমাধানই কি সহজে করতে পারছি আমরা?
সমস্যা এড়ানো খুব একটা সহজ কথা নয়। আর, একটা সমস্যা যখন হয়েই যায় তখন সেটার সমাধানও দ্রুত হাতে খুঁজে ফিরতে হয়। এত কিছু করার সময় কোথায়?

সময় পাল্টাচ্ছে খুব দ্রুত, যুগ বদলাচ্ছে, সব কিছুতেই লাগছে আধুনিকতার ছোঁয়া। তাই যে কোনো সমস্যার সমাধানে আপনারও হওয়া উচিত স্মার্ট এবং হস্তসিদ্ধ। আমাদের আজকের আয়োজন ঘরোয়া বিভিন্ন সমস্যা এবং তার হস্তসিদ্ধ যত সমাধান নিয়ে।
১. কাঠের আসবাবপত্রে ঘর্ষণ
পারটেক্স, উডবোর্ড, স্টিল যতই ম্যাটেরিয়াল বাজারে আসুক না কেন, কাঠের আবেদন কিন্তু কমে যায়নি একদমই। এখনও হয়তো মেরুন রঙা মেহগনি কাঠ বা কালচে লাল রঙের সেগুন কাঠের ফার্নিচার দেখলে মনে ঠিকই একটু ধাক্কা লাগে, আহা! এমন একটা কাঠের খাট থাকলে ঘরের অফ হোয়াইট রঙের সাথে কতই না মানিয়ে যেতো!

এমন শখের কাঠের আসবাবে যখন হালকা স্ক্র্যাচও পড়ে তখন মনে হয় আসবাবে নয়, কেউ বুঝি মনেই সরাসরি আঘাত করে গেলো। একটুখানি আঁচড়ের মতো দাগের জন্য পুরো ফার্নিচারের সৌন্দর্যই যেন নষ্ট হয়ে যায়!
এই ক্ষেত্রে একটি নরম তোয়ালে পানিতে ভিজিয়ে নিংড়ে নিন। তারপর দাগ পড়ে যাওয়া জায়গায় তোয়ালেটি মিনিট দশেক রেখে দিন। এরপর গরম ইস্ত্রি দিয়ে পাঁচ থেকে দশ সেকেন্ডের জন্য কয়েকবার করে তাপ দিন। পানিতে এবং তাপে কাঠ কিছুটা বিস্তৃত হয়ে আপনার কাঠের আঁচড় কাটা দাগ মিলিয়ে যাবে।
২. চিকন তার পেচিয়ে যাওয়া
গান শোনেন না কিংবা বাসায় কম্পিউটার নেই এমন মানুষের বাসায়ও তার পেচানোর সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। একটি মাল্টিপ্লাগ ব্যবহার করে একই সাথে টিভি, চার্জার লাইট, টেবিল ফ্যান ইত্যাদি যখন চালানো হয় তখন সবগুলো তার এক সাথে পেচিয়ে যাবার ঘটনা খুবই স্বাভাবিক। আর যারা কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপ ব্যবহার করছেন তাদের জন্য তো কথাই নেই!

এসব ক্ষেত্রে ছোটো প্লাস্টিকের বোতল মাঝখান থেকে কেটে দুভাগ করে ফেলুন। তারপর বোতলগুলো প্রতিটি ক্যাবলের সাথে আলাদা করে জড়িয়ে নিন। একটি তারের সাথে অপরটি আর পেচাবে না। একই কাজ আপনি টয়লেট টিস্যু ব্যবহার করার পর ভেতরের কাগজের রোলটি দিয়েও করতে পারেন।
৩. ঠাণ্ডা জুস বা পানি গরম হয়ে যাওয়া
হয়তো বাইরে কোনো জরুরি কাজে যাচ্ছেন। মাথার উপর গনগনে সূর্য, মিনিটে মিনিটে যেন পানির তেস্টা পায়। আপনি তাই এক বোতল ঠান্ডা পানি পলিথিনে মুড়ে ব্যাগে করে নিয়ে নিলেন। মিনিট পনেরো পরে বোতল বের করে দেখলেন আবহাওয়ার সাথে পাল্লা দিয়ে সেই পানিও গরম হয়ে গিয়েছে। এখন উপায়?

যেই বোতলে করে পানি নিতে চাচ্ছেন সেটি পেপার টিস্যু ভিজিয়ে পেচিয়ে নিন। তারপর ফ্রিজে রাখুন। ভেজা টিস্যুও বোতলের সাথে সাথে ঠাণ্ডা হবে। এটি তখন সহজেই গরম হয়ে যাবে না। ভেজা টিস্যু সেভাবেই তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করবে।
৪. ওভেনে খাবার ঠিকমতো গরম না হওয়া
রাতে পাস্তা রান্না করেছিলেন। খাবার পরে যা থেকে গেলো ফ্রিজে তুলে রাখলেন। সকালে অফিসে যাবার আগে শুধু গরম করে খেয়ে নিলেই হলো, নাস্তা বানানোর ঝামেলা রইলো না। সকালে উঠে ওভেনে পাস্তা দিয়ে মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলেন। খেতে গিয়ে দেখলেন মাঝের অংশে ঠিকই ঠাণ্ডা হয়ে আছে। আশেপাশে গরম হলেও ওই অংশটুকু গরম হয়নি। আবার গরম করার সময়ও নেই। ঠান্ডা পাস্তা খেয়েই চলে গেলেন।

ঘটনা কি পরিচিত লাগছে? তাহলে এরপর থেকে ওভেনে খাবার গরম করতে দেয়ার আগে ডোনাট শেপে গরম করুন। অর্থাৎ খাবার গরম করার সময় মাঝের অংশে ফাঁকা রেখে চারপাশে গোল করে খাবার ছড়িয়ে দিন। খাবার পুরোটাই গরম হবে।
৫. ময়লার ঝুড়ি স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে থাকা
প্রতিদিন ময়লার ঝুড়ি পরিষ্কার করতে চাইলেও অনেক সময়ই বর্জ্য ভ্যান আসে না। যার জন্য ওইদিনের ময়লা আর বাইরে ফেলা হয় না। সেইদিনই যদি দূর্ভাগ্যক্রমে এমন কিছু ফেলা হয় যার ফলে ময়লার ঝুড়ি ভিজে যেতে পারে তাহলে তো কথাই নেই। আর এমন টুকটাক খাবার তো খাওয়াই হয়। থেকে যাওয়া ঝোল, পচা ডিম আর দুধের প্যাকে একটু তরল দুধ ইত্যাদি তো থাকতেই পারে।
এসব ঝামেলা এড়াতে ময়লার ঝুড়িতে বড় পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করুন। বাজারে অনেক দোকানে বিরিয়ানির প্যাকেট, কাগজের খাম, কাগজের ঠোঙ্গা ইত্যাদি সের দরে বিক্রি হয়। সেসব দোকানে খোঁজ নিলেই আপনি গ্যালন সাইজ পলিথিন ব্যাগ পাবেন। এই পলিথিন ব্যাগগুলো ময়লার ঝুড়িতে দিয়ে রাখুন। ব্যস, আপনার ময়লার ঝুড়ি থাকবে পরিষ্কার!
বোনাসঃ
রান্না করতে গেলে মাঝে মাঝে পাতিল কড়াইতে খাবার পুড়ে লেগে যায়। যতই সাবধান হোন না কেন জীবনে কয়েকবার এই ঘটনার সম্মুখীন আপনাকে হয়তো হতেই হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে শক্ত স্টিলের মাজুনি, চামচ ইত্যাদি ব্যবহার করে ঘষে পোড়া দাগ এবং খাবার তোলেন অনেকেই। কিন্তু এতে যেমন আপনার সাধের কড়াই নষ্ট হচ্ছে তেমনি আপনার হাত কেটে যাবার সম্ভাবনাও অনেক বেশি!
যে কড়াই বা পাতিলে খাবার পুড়ে গিয়েছে সেটিতে এক চামচ লিকুইড ডিশওয়াশ এবং প্রায় পুরোটা পাতিল ভরে পানি দিন। চুলায় এটি জ্বাল দিন। ডিশওয়াশ মিশ্রিত পানি ফুটে আসলে তাতে একটু লেবুর রস বা পাতলা করে কাটা লেবু দিয়ে দিন। পাতিল বা কড়াইটি চুলায় রেখে ঢেকে দিন এবং চুলা বন্ধ করে দিন। পনেরো থেকে বিশ মিনিট পরে পানি ফেলে দিয়ে স্বাভাবিক ভাবে পাতিল মেজে নিন। দেখুন, পোড়া অংশ নরম হয়ে সহজেই উঠে আসবে।
জীবনকে করুন আরও সহজ। ছেলেদের পাশাপাশি এখন মেয়েরাও উপার্জনক্ষম। সারা দিন অফিস করে এসে এসব টুকটাক ঝামেলা করতে কারোই ভালো লাগে না। তাই খুঁজে বের করুন স্মার্ট যত সমাধান। এমন আরও ছোটো ছোটো টিপস পেতে কেয়ার মি-এর সাথেই থাকুন।
Sample Block Quote
Praesent vestibulum congue tellus at fringilla. Curabitur vitae semper sem, eu convallis est. Cras felis nunc commodo loremous convallis vitae interdum non nisl. Maecenas ac est sit amet augue pharetra convallis nec danos.
Sample Paragraph Text
Praesent vestibulum congue tellus at fringilla. Curabitur vitae semper sem, eu convallis est. Cras felis nunc commodo eu convallis vitae interdum non nisl. Maecenas ac est sit amet augue pharetra convallis nec danos dui.
Cras suscipit quam et turpis eleifend vitae malesuada magna congue. Damus id ullamcorper neque. Sed vitae mi a mi pretium aliquet ac sed elitos. Pellentesque nulla eros accumsan quis justo at tincidunt lobortis denimes loremous. Suspendisse vestibulum lectus in lectus volutpat, ut dapibus purus pulvinar. Vestibulum sit amet auctor ipsum.