বাথরুম থাকুক ঝকঝকে পরিষ্কার!
ঘরের কোন অংশ আসলে পরিষ্কার না হলেই নয়? প্রতিটি রুম, বারান্দা, ডাইনিং কোনোটাই বাদ দেবার জো নেই কিন্তু বাথরুম যদি পরিষ্কার না থাকে তাহলে সেই ঘরে থাকাটা যেন একটু কষ্টকরই হয়ে যায়। বাথরুম ব্যবহার করা ছাড়া তেমন একটা খেয়াল করা হয় না বলে এদিকে নজর কম দেয়া হয়। কিন্তু সত্যিকার অর্থে আপনার ঘরে বাথরুম থাকা চাই সবচেয়ে পরিষ্কার। রুমের অবস্থা যেমনই থাকুক না কেন পরিষ্কার বাথরুম আপনার রুচির পরিচায়ক।

অনেক সময় ভাড়া বাসায় উঠলে সবচেয়ে বিপত্তি হয় বাথরুম পরিষ্কার করা নিয়ে। আপনার আগে যিনি ছিলেন তিনি হয়তো বাথরুমের কমোড নিয়মিত পরিষ্কার করলেও বাথরুমের টাইলস, ফিটিংস, জানালা, দরজাও যে পরিষ্কার করা জরুরি তা হয়তো জানতেন না। মাঝখান থেকে আপনি পড়ে গেলেন বিপাকে। পুরনো হয়ে যাওয়া দাগগুলো উঠাবেন কীভাবে এই চিন্তায় আপনি মগ্ন।
এবার তাহলে চিন্তার জাল ছিঁড়ে ফেলুন। আজকের আয়োজনে থাকছে এই পুরনো দাগের বিরুদ্ধে আপনার জয়ের কিছু কৌশল যা আপনাকে করে তুলবে ক্লিনিং এক্সপার্ট। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক।
১. শাওয়ার এবং কল
শাওয়ার বা কল ছেড়ে আপনি দেখলেন পানি বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ছে। অথবা পানি ভেতরে জ্যাম হয়ে থাকছে। বেরোলে বেরোচ্ছে বাদামি রঙের পানি। এই পানিতে আর যাই হোক নিজের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা সম্ভব না। তাহলে উপায় কী?
একটি পলিথিন ব্যাগে তিন ভাগ পানিতে এক ভাগ ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এবার পলিথিন ব্যাগটি শাওয়ার এবং কলের মুখে বেঁধে দিন যেন শাওয়ার ফিটিং এবং কল ওই পানির মিশ্রণে ডুবে থাকে। সারা রাত এভাবে রেখে দিন। পরদিন সকালে পলিথিন খুলে ফেলুন এবং দেখুন ম্যাজিক!

ভিনেগার মিশ্রিত পানি কলের ভেতরের জং ধরা এবং অন্যান্য জমে থাকা ময়লাকে দূর করে, যার ফলে কল বা শাওয়ার থেকে নতুন ফিটিংসের মতোই পানি আসে।
ফিটিংসের গোড়ায় অনেক সময় কালো দাগ পড়ে যায়। এগুলো দূর করে একটি বোতলে এক চামচ সোডার সাথে দুই চামচ ভিনেগার এবং ২০০ মিলি. পানি নিন। বোতলের মুখে স্প্রেয়ার লাগিয়ে নিন। কালো দাগ পড়ে যাওয়া জায়গায় স্প্রেয়ার দিয়ে মিশ্রণটি ছড়িয়ে দিন। ঘন্টা দুয়েক পর পর কয়েকবার এভাবে মিশ্রণটি ছড়িয়ে দিতে থাকুন। পরদিন প্রতিটি অংশ টুথব্রাশ বা অন্য যে কোনো শক্ত ব্রাশ দিয়ে ঘষে তুলে ফেলুন। দাগ অনেকটা হালকা হয়ে যাবে।

২. টাইলস
টাইলসে ময়লা জমে যাওয়া খুব সাধারণ সমস্যা। টাইলস মাঝে মাঝে ঘষা হলেও টাইলসের ফাঁকে ফাঁকে ঠিক মতো পরিষ্কার করা না হলে ওসব জায়গা থেকে কালো দাগ পড়া শুরু করে এবং সেটি চারপাশে ছড়িয়ে যায়।
সপ্তাহে অন্তত একদিন টাইলস পরিষ্কার করা উচিত। এতে টাইলসে ময়লা জমে না। আর আপনি যদি ইতোমধ্যেই ময়লা টাইলস পেয়ে থাকেন তাহলে শক্ত মাজুনিতে ব্লিচ নিয়ে ওই জায়গায় ভালো মতো ঘষে নিন। দাগ কমে যাবে। একটু কম পুরনো হলে সেই দাগ উঠেও যাবে। বাজারে টাইলসের দাগ উঠানোর জন্য আলাদা ধরনের পাউডার পাওয়া যায়। সেগুলো দিয়েও আপনি চেষ্টা করে দেখতে পারেন।

যা-ই ব্যবহার করুন না কেন অবশ্যই দরজা-জানালা খোলা রাখবেন। ভেতরে ভালো ভাবে বাতাস চলাচল না করতে পারলে নিঃশ্বাসের সাথে আপনার নাক-মুখ দিয়ে ব্লিচ এবং অন্যান্য জীবাণু প্রবেশ করতে পারে। ব্লিচ ব্যবহারের সময় হাতে গ্লাভস এবং নাকে মাস্ক পরে নিবেন।
৩. মেঝের অন্যান্য অংশ
মেঝের অন্যান্য অংশ পরিষ্কার করার জন্য মেঝে পরিষ্কারক পাউডার এনে গরম পানিতে গুলে মেঝেতে ছড়িয়ে দিন। দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখুন ঘন্টা খানেকের জন্য। গরমের জন্য ময়লাগুলো নরম হয়ে আসবে। এরপর দরজা-জানালা খুলে মাজুনি বা ব্রাশ দিয়ে ঘষে ময়লা তুলে ফেলুন।
৪. হোল্ডার
বাথরুমে বিভিন্ন হোল্ডারের দিকে প্রায়ই লক্ষ্য করা হয় না। ব্রাশ হোল্ডার, সোপ হোল্ডার, টিস্যু হোল্ডার, সোপ ডিস্পেন্সার ইত্যাদিতেও ময়লা জমে। প্রতিটি হোল্ডার খুলে নিন। আলাদা করা যায় এমন প্রতিটি অংশ আলাদা করে নিন। একটি পাত্রে হালকা গরম পানিতে লিকুইড সোপ বা ওয়াশিং পাউডার গুলে নিন। এবার প্রতিটি জিনিস ভিজিয়ে রাখুন এক ঘন্টার মতো। এর পরে টুথব্রাশ দিয়ে প্রতিটি কোণা ঘষে পরিষ্কার করে ফেলুন।

যদি সব হোল্ডার এটাচড থাকে সেক্ষেত্রে লিকুইড সোপের মিশ্রণটি বোতলে করে স্প্রে করুন। ঘন্টাখানেক পরে আগের মতো করে ঘষে পরিষ্কার করে ফেলুন।
৫. ফ্ল্যাশ
কখনো কি মনে এসেছে যে ফ্ল্যাশও পরিষ্কার করা উচিত? ঠিকই শুনেছেন। আপনি ফ্ল্যাশটিও পরিষ্কার করে নিতে পারেন আপনার মনের মতো করে। এর জন্য প্রয়োজন হবে একটি স্টিলের মাজুনি অথবা পিউমিস স্টোন (ঝামা পাথর)। একটি পাত্রে গরম পানিতে ভিনেগার এবং এক টুকরা লেবু দিয়ে দশ মিনিট জ্বাল দিন। এবার ফ্ল্যাশের পানির সাপ্লাই বন্ধ করে ফ্ল্যাশ করে পুরো পানি বের করে ফেলুন। ট্যাংকিতে সোডা ছড়িয়ে দিয়ে পাত্রের গরম পানির কিছু অংশ ফ্ল্যাশে ঢেলে দিন। এবার ফ্ল্যাশ করুন। এভাবে তিন চার বার করার পর ফ্ল্যাশের ভেতরে ময়লা জমে থাকলে তা বেরিয়ে আসবে।
এছাড়াও নিয়মিত বেসিন পরিষ্কার করুন। বাথরুমে ব্যবহৃত প্রতিটি তোয়ালে সপ্তাহে একদিন ধুয়ে ফেলুন। বাথরুমের আয়নায় সাবান দিয়ে না ঘষে একটি টিস্যুতে ভিনেগার কিংবা স্পিরিট নিয়ে তা দিয়ে আয়না পরিষ্কার করুন। আয়না একেবারেই ঝকঝকে পরিষ্কার হয়ে যাবে। সব শেষে বাথরুমে রাখুন এয়ার ফ্রেশনার।
মন মাতানো ঘ্রাণ এবং পরিষ্কার বাথরুম দেখে সবাই আপনার পরামর্শ নিতে চলে আসতেই পারে। তাদের সাথে আমাদের কথা এবং পোস্ট শেয়ার করতে ভুলবেন না যেন!
Sample Block Quote
Praesent vestibulum congue tellus at fringilla. Curabitur vitae semper sem, eu convallis est. Cras felis nunc commodo loremous convallis vitae interdum non nisl. Maecenas ac est sit amet augue pharetra convallis nec danos.
Sample Paragraph Text
Praesent vestibulum congue tellus at fringilla. Curabitur vitae semper sem, eu convallis est. Cras felis nunc commodo eu convallis vitae interdum non nisl. Maecenas ac est sit amet augue pharetra convallis nec danos dui.
Cras suscipit quam et turpis eleifend vitae malesuada magna congue. Damus id ullamcorper neque. Sed vitae mi a mi pretium aliquet ac sed elitos. Pellentesque nulla eros accumsan quis justo at tincidunt lobortis denimes loremous. Suspendisse vestibulum lectus in lectus volutpat, ut dapibus purus pulvinar. Vestibulum sit amet auctor ipsum.